খ) ব্যাখ্যামূলক সমাস – কর্মধারয়, তৎপুরুষ, দ্বিগু সমাস।
দ্বন্দ সমাসকে প্রধানত কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন-
গ) পূর্বপদের অর্থপ্রধান – অব্যয়ীভাব সমাস।
ধ্বনি কাকে বলে? ধ্বনি কত প্রকার ও কি কি?
বৈসাদৃশ্য : ক ) সন্ধি বর্ণের সঙ্গে বর্ণের মিলনে হয় । সমাস পদের সঙ্গে পদের মিলনে হয়।
১ ব্যুৎপত্তি ও সংজ্ঞা ২ ইতিহাস ৩ সন্ধির সঙ্গে পার্থক্য ৪ সমাসের অঙ্গ ৫ প্রকারভেদ প্রকারভেদ উপঅনুচ্ছেদ টগল করুন ৫.১ দ্বন্দ্ব সমাস ৫.২ কর্মধারয় সমাস ৫.৩ তৎপুরুষ সমাস ৫.৪ বহুব্রীহি সমাস ৫.৫ দ্বিগু সমাস ৫.
এই সমাসে পূর্বপদের করণকারকের বিভক্তি (‘এ’, ‘য়’, ‘তে’)/ অনুসর্গ ( ‘দ্বারা’, ‘দিয়া’, ‘কর্তৃক’ ) লোপ পায়
সকলেই সাধারণত জানি যে, সমাস অর্থ সম্বন্ধপূর্ণ একাধিক শব্দের মিলন। আর সন্ধি পাশাপাশি অবস্থিত দুইটি ধ্বনির মিলন। বিষয় দুটির সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য দেখানো হল-
অর্থাৎ, সমাহার বা মিলন অর্থে website সংখ্যাবাচক বিশেষণের সঙ্গে বিশেষ্য পদের যে সমাস হয়, এবং পরপদের অর্থই প্রাধান্য পায়, তাকে দ্বিগু সমাস বলে। যেমন, ‘অষ্ট ধাতুর সমাহার = অষ্টধাতু’। এখানে পূর্বপদ ‘অষ্ট’ একটি সংখ্যাবাচক বিশেষণ। আর পরপদ ‘ধাতু’ বিশেষ্য। অষ্ট ধাতুর মিলন বা সমাহার অর্থে সমাস হয়ে ‘অষ্টধাতু’ সমস্ত পদটি তৈরি হয়েছে যাতে ‘ধাতু’ সম্পর্কে বলা হয়েছে। অর্থাৎ, পরপদের অর্থ প্রধান হিসেবে দেখা দিয়েছে। সুতরাং, এটি দ্বিগুসমাস।
যথা- বহুব্রীহি (ধান) আছে যার = বহুব্রীহি । এখানে ‘বহু’ কিংবা ‘ব্রীহি’ কোনােটিরই অর্থের প্রাধান্য নেই, যার বহু ধান আছে এমন লােককে বােঝাচ্ছে। বহুব্রীহি সমাসে সাধারণত যার, যাতে ইত্যাদি শব্দ ব্যাসবাক্যরূপে ব্যবহৃত হয়। যেমন, নদী মাতা (মাতৃ) যার = নদীমাতৃক, বিগত হয়েছে পত্নী যার = বিপত্নীক, বীণা পাণিতে যার = বীণাপাণি ( সরস্বতী )
ছয়টি প্রধান সমাস ছাড়াও কয়েকটি অপ্রধান সমাস রয়েছে। যেমন: প্রাদি, নিত্য, অলুক, উপপদ ইত্যাদি। এসব সমাসের প্রচুর উদাহরণ পাওয়া যায় না। এজন্য এগুলোকে অপ্রধান মনে করা হয়।
রূপক কর্মধারয় সমাসঃ উপমেয় পদে উপমানের আরোপ করে যে সমাস হয়, তাকে রূপক কর্মধারয় সমাস বলে। এতে উপমেয় পদে রূপ শব্দের যোগ থাকে। যেমনঃ বিদ্যারূপ ধন = বিদ্যাধন। এখানে ‘রূপ’ শব্দের যোগ রয়েছে।
৩। সন্ধিতে বিভক্তি লোপ পায় না। সমাসে আলোপ সমাস ছাড়া বিভক্তি লোপ পায়।